প্রি-ব্লগিং চেকলিস্ট ২০২৫: নতুন ব্লগারদের জন্য সেরা ৭টি টিপস

ব্লগিং আজকের ডিজিটাল যুগে শুধু শখ নয়, বরং ক্যারিয়ার গড়ার এক অসাধারণ সুযোগ। নতুন ব্লগারদের জন্য প্রাথমিক ধাপগুলো সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং হয়—কোন টপিক বেছে নেবেন, কীভাবে লিখবেন, SEO কৌশল কীভাবে ব্যবহার করবেন বা পাঠকদের আকর্ষণ করবেন—এসব প্রশ্ন থেকেই শুরু হয় যাত্রা। তাই 2025 সালের জন্য নতুন ব্লগারদের সেরা ৭টি কার্যকর টিপস নিয়ে তৈরি হয়েছে এই গাইড।

TechPoth
By
TechPoth
টেকপথ প্রযুক্তি ভিত্তিক একটি লার্নিং প্লাটফর্ম। যেখানে যেকোন বয়সের পাঠক এসে তাদের চাহিদামত তথ্য অনুসন্ধান করে পড়তে পারবে। জীবনকে গড়তে আপনার প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতেই হবে।
14 Min Read

অনেকেই ভাবে, ব্লগিং মানেই শুধু একটা ওয়েবসাইট বানানো আর সেখানে কিছু লেখা পোস্ট করা। কিন্তু আসলে ব্লগিং হচ্ছে নিজের চিন্তা, অভিজ্ঞতা এবং জ্ঞানকে বিশ্বের সাথে ভাগাভাগি করার এক অনন্য মাধ্যম।

নতুন ব্লগাররা অনেক সময় দিক হারিয়ে ফেলে, কোথা থেকে শুরু করবে বা কীভাবে সামনে এগোবে বুঝতে পারে না। তাই আজ আমরা আলোচনা করব নতুন ব্লগারদের জন্য ৭টি সেরা টিপস (2025 এ যা সবচেয়ে জরুরি)

নতুন ব্লগারদের জন্য প্রি ব্লগিং কি-নোটস

  1. প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ও বিষয় নির্বাচন করা
  2. নিম্নমানের হোস্টিং ব্যবহার না করা
  3. ওয়েবসাইটের জন্য WordPress theme নির্বাচন করা
  4. কিওয়ার্ড রিসার্চ ও অপটিমাইজেশন করা
  5. কম্পিটিটর যাচাই করা
  6. কপি-পেস্ট ছাড়া Long Article পাবলিশ করা
  7. একটা SEO প্লান তৈরি করা

এসকল কি-নোটস এর উপর সংক্ষিপ্ত বর্ননা নিচে দেওয়া হলঃ

১। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ও বিষয় নির্বাচন করা

নতুন ব্লগারদের জন্য সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে সেটা হল একটি বিষয় নির্বাচন করা। কারন কোন ব্লগ সাইট শুরু করার পূর্বে নতুন ব্লগারদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ন কাজ। এছাড়াও আপনাকে একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি আগামী ৬মাস থেকে ১ বছর আপনার সাইটের উপর সময় ও অর্থ ব্যয় করবেন কিন্তু কোন লাভের আশা করবেন না।

সঠিক একটি বিষয় নির্বাচন করাটা অনেক গুরুত্বপূর্ন ব্লগিং সাইট এর জন্য। কারন বিষয় নির্বাচন করার উপর ব্লগারদের সফলতা অনেকটাই নির্ভর করে। তাই প্রথমেই বুঝতে হবে যে কোন কোন বিষয় এর চাহিদা বর্তমান সময়ে সবথেকে বেশি এবং কোন বিষয় সম্বলিত সাইটগুলোর ভিজিটর সমসময়ই থাকে। বর্তমান সময়ের কিছু জনপ্রিয় ব্লগিং বিষয়সমূহ, যেমন – টেকনিক্যাল, মেডিকেল টিপস, ট্রাভেল গাইডলাইন, সাইন্স ইত্যাদি।

২. নিম্নমানের হোস্টিং ব্যবহার না করা

আপনার ব্লগিং এর জন্য বিষয় নির্ধারন সম্পন্ন হয়ে গেলে এখন যে বিষয়টা করতে হবে তা হল আপনার সাইট এর জন্য একটি ডোমেইন ও হোস্টিং নির্বাচন করা। এই বিষয়টা অনেকেই গুরুত্বের সাথে দেখেন না।

কিন্তু এটা অনেক গুরুত্বপূর্ন একজন নতুন ব্লগারদের জন্য তাদের ভিজিটর ধরে রাখার জন্য। কারন আপনি যদি নিম্নমানের হোস্টিং ব্যবহার করেন তাহলে আপনার সাইট অনেক স্লো পারফরমেন্স দিবে এবং ডাউনটাইম বেড়ে যেতে পারে। যার কারনে আপনার ভিজিটর আপনার সাইটে ভিজিট করে ফিরে যেতে পারে।

নিম্নমানের হোস্টিং ব্যবহার না করার কারনঃ

  • দুর্বল ওয়েবসাইট পারফরমেন্স
  • অধিক সময় অফলাইন মোড
  • অদক্ষ টেকনিশিয়ান
  • ক্রমাগত ডাউনটাইম
  • অনলাইন সাপোর্ট ভাল নয়
  • হোস্টিং প্রভাইডারের কাছে কোন ব্যাকআপ থাকে না
  • খরচ তুলনামূলকভাবে বেশি হয়
  • নিরাপত্তা বিষয়ক সমস্যা থাকে ইত্যাদি

এজন্য যারা আপনারা এই হোস্টিং বিষয়টা সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য আমরা প্রদান করছি সিঙ্গাপুর এর NVMe SSD হোস্টিং প্যাকেজ যা দুর্দান্ত স্পিড ও ৯৯.৯৯ আপটাইম গ্যারান্টি। প্যাকেজ সম্পর্কে আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন

৩. ওয়েবসাইটের জন্য WordPress theme নির্বাচন করা

বর্তমান সময়ে ওয়ার্ডপ্রেস এর চাহিদা সকল সিএমএস প্লাটফর্ম এর মধ্যে অন্যতম। কারন বিশ্বের ৬৫% ওয়েবসাইট এই ওয়ার্ডপ্রেস এ ডেভেলপ করা। এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে একটা সাইট ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন খুব কম সময়ে ও কম খরচে।

তাইতো, আমি নতুন ব্লগারদের জন্য ব্লগিং শুরু করতে পরামর্শ দেই ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে সাইট ডেভেলপমেন্ট করার জন্য। কারন আপনার সাইটের বিভিন্ন চেক-আপ ও কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে পারবেন বিভিন্ন ফ্রি টুলস ব্যবহার করে।

ওয়ার্ডপ্রেস থিম ব্যবহার করলে আপনি যেকোন সময়ে আপনার সাইটের অবকাঠামো পরিবর্তন করতে পারবেন সম্পূর্ন বিনা খরচে এটা নতুন ব্লগারদের জন্য অনেক হেল্পফুল হবে। এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারে আরো অনেক সুবিধা রয়েছে। তাই আপনিও সাইট ডেভেলপমেন্ট করার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস নির্বাচন করুন।

তবে আপনার যদি সামর্থ্য থাকে তবে পরামর্শ দিব একটা লাইট ওয়েট থিম প্রাইম প্যাকেজ কিনে নিন। তাহলে সাপোর্ট এর পাশাপাশি বিভিন্ন অতিরিক্ত সুবিধা পাবেন সাইটটিকে সাজানোর জন্য। তবে অনেকসময় দেখা যায় একজন নতুন ব্লগারদের জন্য টাকা ইনভেস্ট করাটা অনেক কষ্ঠসাধ্য হয়ে যায় তাই ফ্রি থেকেই যাত্রা শুরু করতে পারেন।

৪. কিওয়ার্ড রিসার্চ ও অপটিমাইজেশন করা

নতুন ব্লগারদের জন্য আরেকটি মূল্যবান কাজ কিওয়ার্ড রিসার্চ করা। কারন সাইট ডেভেলপমেন্ট হয়ে গেলেই কিন্তু কাজ শেষ নয় বরং আপনার কাজ শুরু। সাইট ডেভেলপমেন্টের কাজ শেষ হয়ে গেলে এখন আপনার সাইটের কিওয়ার্ড রিসার্চ করা শিখতে হবে। এজন্য অনেক অনলাইন ফ্রি ট্রেইনিং পাওয়া যায় সেখান থেকে শিখতে পারেন। কারন একমাত্র অর্গানিক কিওয়ার্ড পারে যে কোন সাইটকে খুব দ্রুত র‌্যাংক করাতে।

আপনার সাইটের প্রতিটা পোস্ট এর জন্য কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। এজন্য আপনি কোন একটি লেখা শুরু করার পূর্বে কিওয়ার্ডগুলো সিলেক্ট করে একটা লিস্ট আকারে ফাইলে সংরক্ষন করুন এবং আপনার লেখার মধ্যে সেগুলো বিভিন্ন যায়গায় ব্যবহার করুন।

তবে কিওয়ার্ড নির্ধারন করার ক্ষেত্রে নতুন ব্লগারদের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ন কথা হচ্ছে আপনারা কম ভলিউম বা কম ট্রাফিক এর কিওয়ার্ড চয়েস করুন। কারন বেশি ভলিউম এর কিওয়ার্ড কম্পিটিটর অনেক বেশি তাই র‌্যাংক করাটা অনেক কঠিন হবে একজন নতুন ব্লগারদের জন্য। এবং আপনার পোস্ট গুগল সার্চে অনেক নিচে পরে থাকবে।

কিন্তু অপরদিকে আপনি যদি কম ভলিউম এর কিওয়ার্ড চয়েস করেন তাহলে দ্রুত গুগল বা অন্য সার্চ সাইটগুলোতে সহজেই র‌্যাংক করতে পারবেন। এছাড়াও লংটেল কিওয়ার্ড নতুন ব্লগারদের জন্য ভাল কোন পোস্টকে র‌্যাংক করার জন্য।

এখন কীওয়ার্ড রিসার্চ শেষ হয়ে গেলে কীওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশন করতে হবে। কীওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশান হল একটি ওয়েবসাইট লক্ষ্য করার জন্য সেরা কীওয়ার্ডগুলি গবেষণা, বিশ্লেষণ এবং নির্বাচন করার প্রক্রিয়া। কীওয়ার্ডের জন্য অপ্টিমাইজ করা সার্চ ইঞ্জিনগুলিতে আপনার পোস্টের অর্গানিক ট্রাফিক আনতে বিশদ ভুমিকা পালন করে। ভাল কীওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশান ওয়েবসাইটের প্রতিটি পৃষ্ঠার জন্য ট্রাফিক বাড়ানোর উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।

কীওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আপনাকে কীওয়ার্ড নির্বাচন করতে সহায়তা করে যা ট্রাফিক, লিড এবং বিক্রয় বৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করবে। এছাড়াও নতুন ব্লগারদের জন্য কীওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ন দিক হল এটি আপনার ওয়েবসাইটের এসইও র‌্যাঙ্কিংকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে। SEO কীওয়ার্ড অপ্টিমাইজেশান আপনার পণ্য এবং পরিষেবাগুলির সাথে প্রাসঙ্গিক প্রশ্নের জন্য আপনার ওয়েবসাইট র‌্যাঙ্কে সহায়তা করে।

নিচে নতুন ব্লগারদের জন্য কিছু কীওয়ার্ড এনালাইসিস টুলস এর লিংক দেওয়া হলঃ

1. Neil Patel – Ubersuggest

2. Semrush Analytics

৫. কম্পিটিটর যাচাই করা

আমাদের কীওয়ার্ড রিসার্চ ও অপ্টিমাইজেশন শেষ হয়ে গেলে এখন আসুন আমরা আমাদের সাইটের কম্পিটিটর খুজে বের করি। নতুন ব্লগারদের জন্য কম্পিটিটর যাচাই করা খুবই দরকারী একটি টাস্ক। কম্পিটিটর বা প্রতিদ্বন্দি বলতে আমাদের সাইট যে বিষয়ের উপর নির্মিত ঠিক সেই বিষয়ের কোন কোন সাইট গুগল এ র‌্যাংক করা আছে তাদের লিস্ট তৈরি করতে হবে।

এজন্য আমরা পূর্বে যে কীওয়ার্ড নির্ধারন করেছি আমাদের পোস্ট এর জন্য সেগুলো গুগল এ সার্চ করে দেখতে হবে যে কোন কোন সাইট গুগল এর প্রথম সারিতে আসছে। তাদের মধ্য থেকে আপনি প্রথম ১০টি সাইট এর লিংক নোট করে রাখতে পারেন আপনার এনালাইসিস এর জন্য।

তবে আপনার লিস্ট এর মধ্যে যদি কোন টপ লেভেল ডোমেইন থেকে থাকে সেগুলো বাদ দিতে হবে যেমন- এমাজন, উইকিপিডিয়া ইত্যাদি। কারন এগুলোর প্রতিদ্বন্দিতা করার মত সামর্থ্য এখনও আপনার তৈরি হয়নি। লিস্ট তৈরি হয়ে গেলে এখন একেকটা সাইট এর কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে যে প্রতিদ্বন্দি সাইটের লেখার সংখ্যা, কিওয়ার্ড, ইন্টারন্যাল ও এক্সটারনাল লিংক ইত্যাদি।

কম্পিটিটর এনালাইসিস করার জন্য অনলাইনে অনেক টুলস পাওয়া যায় যেগুলো পেইড ও ফ্রি দুই ভাবেই আছে। তবে পেইড প্যাকেজ এর তুলনায় ফ্রি ভার্সনে এনালাইসিস এর সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই সামর্থ্য থাকলে একটা পেইড প্যাকেজ কিনে দেখতে পারেন। আমার নিজের ব্যবহার করা কিছু টুলস এর নাম নিচে দেওয়া হল-

1. Neil Patel – Ubersuggest

2. SEO Competitor Check

৬. কপি-পেস্ট ছাড়া Long Article পাবলিশ করা

নতুন লেখা বলতে সম্পূর্ন ভিন্নভাবে লেখার কথা বুঝানো হয়েছে। প্রথমদিকে প্রায় সব ব্লগারেরাই এই বিষয়টা ভুল করে। আপনি যদি কোন সাইটের লেখা কপি-পেস্ট করেন তাহলে একদিন না একদিন ধরা পরবেন। কোন ওয়েবসাইটের তথ্য কপি পেস্ট করে আপনার সাইটে পোস্ট করলে সাইটটি ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট ক্লেইম এ পড়তে পারে।

যার ফলে আপনার সাইটটি গুগল এ র‌্যাংক করতে পারবে না এমনকি গুগল এর রোবট আপনার সাইটটি ব্লক ও করে দিতে পারে। এজন্য আমি আপনাদের পরামর্শ দিব সপ্তাহে অন্তত একটা পোস্ট করেন তবুও পোস্টটা আপনি নিজের ভাষায় লিখেন।

কপি পেস্ট করে অনেক পোস্ট করার থেকে ঐ একটা পোস্ট আপনার সাইটের রেটিং অনেক বাড়িয়ে দিবে। এবং সাইটে অর্গানিক ভিজিটরের সংখ্যা দিন-দিন বৃদ্ধি পাবে।

আরেকটি বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ন লেখালেখির ক্ষেত্রে। আপনি যে পোস্টটা লিখবেন সেটা সর্বনিম্ন ৬০০-৭০০ ওয়ার্ড এর মধ্যে লেখার চেষ্টা করবেন এবং যদি সম্ভব হয় ১৫০০+ ওয়ার্ড এর লিখবেন। এমন বড় কয়েকটি আর্টিকেল আপনার ব্লগ সাইটে থাকলে অর্গানিক ভিজিটর পাওয়ার জন্য বেস্ট।

এছাড়াও পরবর্তিতে আপনার ব্লগ সাইটটি দিয়ে যদি গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয় করতে চান তাহলে এডসেন্স এপ্রুভ করার জন্য অন্তত ১৫০০+ ওয়ার্ড এর এমন ৪-৫টি আর্টিকেল থাকা জরুরি। আর যদি বড় আর্টিকেল লিখতে না পারেন তাহলে ৬০০-৭০০ ওয়ার্ড এর ২০-২৫টা আর্টিকেল লিখতে পারেন।

উপরের লেখা থেকে এটাই বোঝা গেল যে, আপনি যদি সফলতা খুব সহজে ধরতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিটা কাজ নিয়ম মেনে করতে হবে। আর অবশ্যই নিজে লিখবেন কোন পোস্ট থেকে কপি করবেন না। তবে হ্যা আপনি অন্য পোস্ট এর পয়েন্টগুলো আপনার গাইডলাইন হিসেবে নিয়ে কোন লেখা লিখতে পারেন।

৭. একটা SEO প্লান তৈরি করা

আমাদের উপরের সকল বিষয়গুলো যদি আপনি সঠিকভাবে পালন করেন তাহলে আশাকরি আপনার একটা সঠিক SEO প্লান তৈরি করতে বেশি কষ্ট করা লাগবে না।

ব্লগ সাইট পরিচালনা করার জন্য একটা কমপ্লিট এসইও প্লান তৈরি করা থাকলে আপনি সবসময় সেটা অনুসরন করে প্রতিটা পোস্ট বা প্রতিটা ট্যাগ এনালাইসিস করতে পারবেন। এসইও এনালাইসিস ছাড়া কোন সাইট র‌্যাংকিং করা যায় না। এসইও সাধারনত দুই প্রকার-

১. অন পেজ এসইও (On-Page SEO)

২. অফ পেজ এসইও (Off-Page SEO)

অন-পেজ এসইও: অন পেজ এসইও এর মধ্যে সাইটের হেলথ চেক-আপ, কোড এনালাইসিস, সাইটের লোডিং স্পিড, প্রতিটা পোস্ট এর টাইটেল, ট্যাগ, কিওয়ার্ড ইত্যাদি কে বোঝায়।

অফ-পেজ এসইও: অফ পেজ এসইও হল Link Building, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং, মেইল মার্কেটিং ইত্যাদি। তবে অনপেজ এসইও এর সাথে সাথেই অফপেজ এসইও এর গুরুত্বও অনেক বেশি। অফ পেজ এসইও ছাড়া অন পেজ এসইও এর সফলতা আসে না।

আপনি কি জানেন একটা ওয়েবসাইটের প্রায় ৯৫% ভিজিটর গুগল এর মাধ্যমে আসে। তাই আপনি যদি আপনার আর্টিকেলটি গুগলের পেজ এ প্রথম সারির দিকে দেখতে চান তাহলে আপনাকে এসইও করতে হবে। এবং বর্তমানে এই এসইও মার্কেটে খুব কম্পিটিশন চলছে। কারন সবাই চাই গুগল এর প্রথম পেজে থাকতে।

তাইতো যে যত ভাল এসইও এনালাইসিস করতে পারবে তার সাইট তত দ্রুত গুগল এ র‌্যাংক করবে। নিচে আমরা কিছু বেসিক চেকিং এর বর্ননা করছি যা আপনার সাইটের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ন। ‍নিচের এই চেকিংগুলো সম্পন্ন করুন এবং কোনটা যদি আপনার সাইটে এখনও না করে থাকেন সেটা দ্রুত সমাধান করুন –

১. সাইটটি Mobile-Friendly কিনা [চেক করুন]

২. সাইটের প্রতিটা পোস্টে ৩-৫টি Interlinking ব্যবহার হচ্ছে কি [চেক করুন]

৩. সাইটে কোন Duplicate পেজ আছে কি [চেক করুন]

৪. সাইটটি Google Console এ সাবমিট করা হয়েছে কি [চেক করুন]

৫. আপনার সাইটে robots.txt ফাইলটি সাবমিট করা হয়েছে কি [চেক করুন]

৬. সাইটে sitemap.xml ফাইলটি সাবমিট করা হয়েছে কি [চেক করুন]

৭. প্রতিটা পোস্ট Canonical Declared করা হয়েছে কি [চেক করুন]

পরিশেষে কিছু কথা
বন্ধুরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেল নতুন ব্লগারদের জন্য ৭টি টিপস, যদি আপনার ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই পোস্টটি বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন। আর আপনি যদি নতুন ব্লগার হিসেবে যাত্রা শুরু করে থাকেন তাহলে আপনার জন্য রইল শুভকামনা। কোন সমস্যা থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।

আর আপনি যদি জানতে চান যে ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয় তাহলে আমাদের পূর্বের আর্টিকেল ব্লগিং করে টাকা ইনকাম লেখাটা একবার পড়ে আসতে পারেন। বাংলা ব্লগিং সাইট থেকেও ভাল টাকা আয় করা যায় শুধুমাত্র আপনাকে ব্লগিং গাইড মেনে কাজ করতে হবে।

আপনাদের এনালাইসিস এর সুবিধার্থে কিছু বাংলা ব্লগিং সাইট এর লিংক নিচে দেওয়া হলঃ

আমি আমার ব্লগিং ক্যারিয়ার এর অনেক ধরনের খুটিনাটি বিষয় সম্পর্কে আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম। প্রতিটা ব্লগারের প্রথমদিকের পথ চলাটা অনেক কঠিন কিন্তু নিজে থেকেই সেই পথটা সহজ করে নিতে হবে পরিশ্রম এর মাধ্যমে। আপনার জন্য একটাই পরামর্শ কখনো হতাশ হয়ে পরবেন না। সামনে এগিয়ে যান সফলতা আপনার কাছে ধরা দিবেই। এজন্য আপনাকে ধৈর্যধারন করতে হবে।

Follow:
টেকপথ প্রযুক্তি ভিত্তিক একটি লার্নিং প্লাটফর্ম। যেখানে যেকোন বয়সের পাঠক এসে তাদের চাহিদামত তথ্য অনুসন্ধান করে পড়তে পারবে। জীবনকে গড়তে আপনার প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতেই হবে।
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *