ভেরিয়েবল কাকে বলে? ভেরিয়েবলের ধরন কত প্রকার?

TechPoth
By
TechPoth
টেকপথ প্রযুক্তি ভিত্তিক একটি লার্নিং প্লাটফর্ম। যেখানে যেকোন বয়সের পাঠক এসে তাদের চাহিদামত তথ্য অনুসন্ধান করে পড়তে পারবে। জীবনকে গড়তে আপনার প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতেই হবে।
3 Min Read

প্রোগ্রামিং শেখার শুরুতেই আমরা যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি শিখি, তা হলো ভেরিয়েবল (Variable)। প্রোগ্রামিং-এ ডেটা বা তথ্য সংরক্ষণ ও ব্যবহারের জন্য ভেরিয়েবল অপরিহার্য একটি উপাদান। কিন্তু অনেক নতুন শিক্ষার্থী ভেরিয়েবল কী এবং এর কতগুলো ধরন আছে তা ভালোভাবে বুঝতে পারে না। আজকের এই ব্লগে আমরা সহজ ভাষায় ভেরিয়েবল এবং এর প্রকারভেদ নিয়ে আলোচনা করব।

ভেরিয়েবল হল কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের একটি মৌলিক উপাদান যা কোনো নির্দিষ্ট ধরনের তথ্য (যেমন: সংখ্যা, পাঠ্য, বা বুলিয়ান মান) সংরক্ষণ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। একে মনে করতে পারেন একটি খালি বাক্স, যেখানে আপনি যেকোনো সময় তথ্য রাখতে পারেন এবং পরবর্তীতে সেই তথ্য ব্যবহার করতে পারেন।

উদাহরণ:

  • আপনি যদি কোনো ব্যক্তির বয়স সংরক্ষণ করতে চান, তাহলে আপনি একটি ভেরিয়েবল ঘোষণা করবেন যাকে বলা হবে “বয়স” এবং তারপর সেখানে ব্যক্তির বয়সটি রাখবেন।
  • আপনি যদি কোনো শব্দ সংরক্ষণ করতে চান, তাহলে আপনি একটি ভ্যারিয়েবল ঘোষণা করবেন যাকে বলা হবে “নাম” এবং তারপর সেখানে ব্যক্তির নামটি রাখবেন।

ভেরিয়েবলের কাজ কি?

ভ্যারিয়েবলের অনেকগুলো কাজ রয়েছে, এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য কাজ হল:

  • তথ্য সংরক্ষণ: ভ্যারিয়েবলের মূল কাজ হল তথ্য সংরক্ষণ করা। প্রোগ্রাম চলাকালীন বিভিন্ন ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হয় এবং সেগুলো ভ্যারিয়েবলে রাখা হয়।
  • তথ্য ম্যানেজমেন্ট: সংরক্ষিত তথ্যগুলোকে ভ্যারিয়েবলের মাধ্যমে সহজেই পরিবর্তন, তুলনা এবং ম্যানেজ করা যায়।
  • কম্পিউটারকে নির্দেশ দেওয়া: ভ্যারিয়েবলের মান ব্যবহার করে কম্পিউটারকে বিভিন্ন কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। উদাহরণস্বরূপ, যদি আমরা দুটি সংখ্যার যোগফল বের করতে চাই, তাহলে আমরা দুটি সংখ্যাকে দুটি ভ্যারিয়েবলে রাখব এবং তারপর সেই দুটি ভ্যারিয়েবলকে যোগ করার নির্দেশ দেব।

উদাহরণ:

Python

# Python-এ একটি উদাহরণ

name = "আমি"
age = 25

print("আমার নাম হল", name, "আর আমার বয়স হল", age)

উপরের কোডে:

  • name নামে একটি ভ্যারিয়েবল ঘোষণা করা হয়েছে এবং তার মান হিসেবে “আমি” শব্দটি রাখা হয়েছে।
  • age নামে আরেকটি ভ্যারিয়েবল ঘোষণা করা হয়েছে এবং তার মান হিসেবে 25 সংখ্যাটি রাখা হয়েছে।
  • print() ফাংশন ব্যবহার করে ভ্যারিয়েবলগুলোর মানকে কনসোলে প্রিন্ট করা হয়েছে।

সহজ কথায়: ভ্যারিয়েবল হল কম্পিউটার প্রোগ্রামের মধ্যে তথ্য রাখার জন্য ব্যবহৃত একটি ধারক। এটি কম্পিউটারকে আরো বুদ্ধিমান এবং কার্যকর করে তোলে।

ভেরিয়েবলের ধরন কত প্রকার

ভেরিয়েবল বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ অনুযায়ী এই ধরনগুলোর নাম ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত নিচের ধরনের ভেরিয়েবল দেখতে পাওয়া যায়:

  • অবজেক্ট: বিভিন্ন ধরনের তথ্য এবং ফাংশন একত্রে রাখার জন্য।
  • সংখ্যা: পূর্ণসংখ্যা (integer), দশমিক সংখ্যা (float) ইত্যাদি।
  • পাঠ্য: অক্ষর বা শব্দ (string)।
  • বুলিয়ান: সত্য বা মিথ্যা (boolean)।
  • অ্যারে: একই ধরনের একাধিক মান সংরক্ষণের জন্য।

উপসংহার

ভেরিয়েবল হলো প্রোগ্রামিং এর অন্যতম মৌলিক অংশ। এটি ছাড়া কোনো প্রোগ্রাম কল্পনা করা যায় না। Integer, Float, String, Boolean ইত্যাদি ভেরিয়েবলের ধরন সঠিকভাবে বুঝতে পারলে প্রোগ্রামিং শেখা অনেক সহজ হয়ে যাবে।

👉 তাই, ভেরিয়েবলকে ভালোভাবে অনুশীলন করুন এবং বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষায় এর ব্যবহার শিখে নিন।

Follow:
টেকপথ প্রযুক্তি ভিত্তিক একটি লার্নিং প্লাটফর্ম। যেখানে যেকোন বয়সের পাঠক এসে তাদের চাহিদামত তথ্য অনুসন্ধান করে পড়তে পারবে। জীবনকে গড়তে আপনার প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতেই হবে।
Leave a Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *